লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি দীর্ঘদিন থেকে দখলে নিচ্ছে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট। খবর নেই প্রশাসনের, নেই কোন প্রদক্ষেপ! লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পৌর ৩নং ওয়ার্ড, মেঘনা রোডস্থ দেলবাদশা ফকির বাড়ি জামে মসজিদের সামনে, ১৭৩ শতাংশ সরকারি খাস জমি রয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা। সোমবার সকালে, সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে তখনও দখল কার্যক্রম চলছে।.
.
সরকারি এই ভূমির বেশিরভাগই ইতিমধ্যে দখলে নিয়ে দোকানপাট ও মিলঘর স্থাপন করে বিভিন্ন জনের কাছে ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করছেন একটি ভূমিদস্যু চক্র। গেল পাঁচ আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর অবশিষ্ট জমিও এখন দখল করে নিচ্ছেন তারা। দুই সহোদর সহ আট-দশ জনের একটি সিন্ডিকেট করে সরকারি এই বিশাল সম্পত্তি অবৈধ ভাবে দখল করছেন স্থানীয় মৃত আলী আহমেদের বড়ো ছেলে মো. আবু সাঈদ ড্রাইভার। .
.
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দখল বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে একটি বাহিনী গড়ে তুলে নিজেই এলাকার মোড়ল বনে গেছেন সায়েদ। তার সহযোগিরা অবৈধ দখল, বিভিন্ন অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। সায়েদের খুঁটির জোর স্থানীয় এক বিএনপি নেতা, বলে দাবি করেছেন সায়েদ নিজেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই সায়েদ ড্রাইভার বিগত সরকারের আমলে আওয়ামীলীগ নেতা ও সদ্য সাবেক কমিশনার সুমনের আস্থাভাজন ছিলেন। সরকার পরিবর্তনের পর তিনি নিজেকে বিএনপির লোক পরিচয় দিয়ে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।.
.
জানতে চাইলে সায়েদ ড্রাইভার বলেন, সরকারি জমি শুধু আমি একা দখল করিনি। এখানে সানাউল্লাহ মিয়ার ছেলে হারুন ও সাদ্দাম হোসেন, আব্দুর রশিদের ছেলে সুমন, আক্কাস মিয়ার ছেলে জামাল হোসেন এবং আমার দুই ভাই হোসেন আহমদ আর ফিরোজ আলমও রয়েছে। এটা নিয়ে ডিসি, এসিল্যান্ড ও পুলিশ এসেছে, তারা সবকিছু দেখেছেন। তখনও দোকান ঘরগুলো ভেঙে ফেলতে বলছে, আমরা ভাঙ্গিনি। এসব বিষয়ে লোকমান কাউন্সিলর সবকিছু জানে। আপনারা প্রয়োজনে তার সাথে কথা বলেন। নতুনভাবে আরও দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু এটা আমাদের বাড়ীর সামনে তাই আমরা দখল করতে বাধ্য।.
.
স্থানীয় কয়েকজন জানান, দীর্ঘদিন থেকে সায়েদ ড্রাইভার তার দলবল নিয়ে সরকারি সম্পত্তি দখল করে নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে দোকানপাট ও স্থাপনা নির্মাণ করে আসছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেইনি। প্রশাসন কেন নীরব আমরা জানিনা। সায়েদ ড্রাইভার সবাইকে ম্যানেজ করে ফেলে। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে সরকারের কোটি কোটি টাকার জমি বেদখল হয়ে যাবে।.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: